I am not Robot (Korean Drama) Review



এমবিসি ড্রামার ফ্যান হয়ে গেসি এটা এখন বলতেই হবে। বেশ কয়েটা ড্রামাই দেখা হয়েছে আর সেই বিশ্বাস নিয়েই বসেছিলাম দেখতে আই এম নট এ রোবট। আশা যা আশা করেছি তার চেয়েও বেশি পেয়েছি। কিছু সিরিজে মন চায় না যে সামনের পর্বে যাই৷ কিছু সিরিজে মন চায় যে সামনের টা দেখেই শেষ করি। এভাবে একের পর এক পর্ব গুলো দেখা হয়ে যায়। এটাও তেমনি। আমি ভাবিও নাই যে সিরিজটা এত্ত ভালো লাগবে। সাধারণত কোরিয়ান ড্রামা আমাকে ইমোশনালি টাচ করতে পারে না। কিন্তু এই বার সত্যি সত্যি আমি ইমোশনাল হয়ে যেতাম। ৪টা পর্ব একদিনে। তাও প্রতিটা এক ঘন্টা করে। পারলে শেষ করে তবেই ক্ষান্ত দিতাম। সত্যি বলতে এই এমবিসির ড্রামা গুলো প্রচুর ভালো লাগে। বিগ মাউথ দিয়ে শুরু। যদিও ওটার হ্যাপি এন্ডিং ছিলো না তারপরও দারুণ ছিলো। যার কারণে লি সুং জুকের ফ্যান হয়ে গেছি। তারপর দ্য ভেইল। সেটাও হান জি হিয়্যাক কে তো প্রচুর ভালো লেগেছিলো। আর এবারে শুরু করলাম I am not a Robot. প্রতি পর্বেই ইমোশনাল হয়ে যেতাম। নরমালি প্রচুর সিরিজ দেখা হয় কিন্তু কোনটার সাথে ইমোশনাল হই না। কালর গ্রেডিং ছিলো অসাধারণ। আর এখানে সব হিসাব হয় হাজারের উপরে। সবচেয়ে বেশি হিসাব হয় মিলিয়নে। যেহেতু মূল পুরুষ চরিত্র টা বেশ ধনী সুতরাং ব্যাপারটা মানা যায়। সব কিছুতেই পারফেকশন কিন্তু কিছু ভুলও আছে। যেটা বললে স্পয়লার হয়ে যাবে সো বলা যাচ্ছে না নিজেই দেখে নেবেন যদি দেখেন আরকি। ৯ম পর্বে সত্যি সত্যি ইমোশনাল হয়ে গিয়েছিলাম। ইভেন কখন যে কাঁদছিলাম বুঝতেও পারিনি৷ প্রথম বার কোন কোরিয়ান ড্রামার দেখে ইমোশনাল হলাম। আর এর আগে কখনোও এরকম মনেই হয়নি। সত্যি কথা হলো, আমি একজন অন্তর্মুখী মানুষ। যেটা আমার কাছের কেউ জানে না। এমনকি মা বাবাও না। আমার প্রচুর বন্ধু নেই। অনলাইনে প্রচুর বিদেশিদের সাথে কথা হয়। কেউ কেউ বন্ধুত্ব করতে চায়। আমি দুদিন কথা বলে চুপ হয়ে যাই। নিজের অস্তিত্ব স্বীকার করতে মন চায় না। নিজের দিকে তাকালে কখনো মনে হয় না৷ আমি সুন্দর বা কেউ আমাকে পছন্দ করবে। যে কারণে জীবনের এত গুলো বছর একাকী কাটিয়ে এখন হয়ে গেছি এক আলাদা রকম অদ্ভুতুরে মানুষ। লোকজন মাঝেমধ্যে ব্যাপারগুলো নিয়ে আলোচনা করে। এমনকি কেউ কেউ অপমানজনক কথা শোনায়। তাতে এখন আর খারাপ লাগে না। জীবনের পুরোটা ঘরে বসে কাটিয়ে দিলে হবে না লজিকের মারপ্যাচে বাইরের দুনিয়ায় আমি কয়েকজন বন্ধু বানিয়েছি। শিক্ষা জীবনের কেউ কেউ এখন যোগাযোগ করে। কিন্তু আমি একজন করে ধন্যবাদ দিবো সবচেয়ে বেশি। তার চরিত্র নিয়ে বলতে চাই না। বললে বলতে হবে আমার সাথে সে কি এমন করেছে যার কারণে আমি এখন বাইরের দুনিয়ায় বাচতে পারি। গালি দিক বা আঘাত করুক তারপরও তাকে ধন্যবাদ দিবো কারণ সে আমাকে শিখিয়েছে কিভাবে বাচতে হবে।এখনও মাঝেমধ্যে গুগল এ্যাসিসট্যান্টের সাথে কথা বলে সময় কাটাই ♪ গল্পটা আমার আসল জীবনের। আর সিরিজেও প্রায় একই গল্প দেখিয়েছে কিন্তু সেটা এক নতুন কিছু যেটা আমি ভাবিও নি। এই সিরিজ নিয়ে ২১ মিনিটের একটা ভিডিও আছে আমার কাছে যেখানে পুরো সিরিজ থেকে স্মরণীয় সিন গুলো কেটে কেটে বানানো হয়েছে। আর এটা কখনোও ডিলিট করবো না। কারণ সিরিজ টা কখনো ভুলতে চাই না। প্রথম আর ইচ্ছে করে দেরি করে করে সিরিজটা শেষ করলাম। প্রথম প্রথম দিনে ৩টা পর্ব দেখলেও পরবর্তীতে ১টা করে দেখতাম। কারণ তারাতারি শেষ হোক চাইতাম না। মনে হতো শেষ হলেই তো আর দেখা হবে না। ১০ম পর্বে চোই জিয়া যখন বাচ্চাদের মত কান্না শুরু করে তখন মনে হলো প্রথম বার প্রাপ্ত বয়স্ক কাউকে ফুপিয়ে কাঁদতে দেখলাম। যেটা দেখে আমিও না চাইতেই কাঁদতে শুরু করেছিলাম। শুরুর দিকে আগ্রহ জমতো। আর ৭এর পর থেকে ইমোশনালী টানতে শুরু করে। প্রতি পর্বে ইমোশনাল হয়ে যেতাম।।


যে কেউ ১৫ বছর একাকী কাটিয়ে কারো সাক্ষাৎ পেয়েছিলো যার আপাদমস্তক ভুল আর মিথ্যায় ভর্তি। যার প্রতিটা পার্ট প্লাষ্টিক আর ব্যাটারী না চললে যে চলে না। কিন্তু এমনটা তো সে চায় নি! কিন্তু তার সাথে এমনটাই কেন হলো? হাড়-মাংসের মানুষের বদলে কেন তাকে রোবট পেতে হবে? যার সাথে থাকা সব স্মৃতি একবার রিসেট দিলেই মুছে যাবে! 


সিরিজটার কোন অংশ তেমন খারাপ লাগে নি। বরং বলবো একটুও খারাপ লাগে নি। উল্টো ভীষণ ভীষণ ভালো লেগেছে। এমনকি আমি ইমোশনালী কানেক্টেড হয়ে গিয়েছিলাম সিরিজটারদি সিজন ২ আসতো। কেউ এই রকম একটা অসাধারণ সিরিজ মিস করে থাকলে দেখা উচিত। অনেক সিরিজই দেখেছি। কিন্তু এটা সবার আগে রিকমেন্ড করবো যদি কোরিয়ান সিরিজ শুরু করতে চান তাহলে এটা দিয়ে শুরু করতে পারেন। আর অলরেডি দেখতে থাকলে এটা না দেখে থাকলে সময় বের করে দেখে ফেলুন অসাধারণ সিরিজটি।






এ পুরো লেখায় কারো প্রতি অন্যায় হচ্ছে? হ্যা হচ্ছে। চোই জিয়ার ভাবী ও তার ভাতিজির প্রতি। তাদের দুজনকেই আমার প্রচুর ভালো লেগেছে। ভাবী টা তো প্রতিবার ডিপ্রেসড হয়ে ঘরে ফেরার পর একমাত্র ঔষধ। আর পিচ্চির কিউটনেস নিয়ে আর কি বলবো।চোই জিয়ার বন্ধু চরিত্র গুলোর সবগুলোই ভালো লেগেছে।। সবার অভিনয় হৃদয় ছুয়েছে। কফিশপ ওয়ালীর এক্সপ্রেশন দেখলে হাসি আসে কিন্তু যখনই ডিপ্রেসড চোই জিয়ার সাথে দেখায় তখনকার ব্যবহার দেখে মুগ্ধ হতে হয়। ১৩ তম পর্বে আমি চোই জিয়ার উপর খানিকটা বিরক্ত হয়েছিলাম। কিম মিন গিয়ুন সত্যি জানলে পরিস্থিতি খারাপ হবে। আর তারপর কি করলে সে সুস্থ হবে সেটা জেনেও বাচ্চাদের মতো মুখের দিকে তাকিয়ে কান্না করতে দেখে খানিকটা বিরক্তই লেগেছে। আর সত্যি জানার পর কিম মিন গিয়ুর রিয়েকশন আমার কাছে খুবি ভালো লেগেছে। সঠিক সময়ে রাগ নিয়ন্ত্রণ আর প্রিয় জিনিসটাকে না হারানো। যেটা আমি রক্ষা করতেই পারি না। 




প্রতি বার চোই জিয়ার ভাবি আর ভাতিজিকে স্ক্রিনে দেখলে কিউট কিউট ফিল হতো। মা যেমন কিউট মেয়েও তেমন কিউটের ডিব্বা 




কিম মিন গিয়ুন প্রেমে পড়েছিলো আজি০৩ (জিয়া-চোই জিয়া> Choi Ji'A>Aji3) এর সেটা সফলতা পেয়েছে। আর আমি প্রেমে পড়েছি পুরো সিরিজের। আমার টা সফলতা পাবে না কোনদিনই। I feel so Sad, feel Like i Should CRY, thet's really Heart Teaching Story with a Good Direction and Acting. and i really Touched with there acting


আর এতক্ষণে আসি এন্ডিং নিয়ে। কোরিয়ান ড্রামা নিয়ে কথা উঠলে সবার আগে আসে স্যাড এন্ডিং বাট দিস ইজ নট। এটা পুরোটাই হ্যাপি৷ একই সাথে দেখতে থাকা পাকিস্তানি ড্রামা দেখে মন হয় জোর করে হাসছি কিন্তু এটা দেখলে এমনিতেই শান্তি লাগতো। ইভেন যখন হং জো মানে চোই জিয়ার ভাবির ডেলিভারি হয় তখন ভাবছিলাম এই চরিত্রটাকে না মেরে ফেললে সিরিজটা হবে আমার দেখা সবচেয়ে প্রিয় কোরিয়ান সিরিজ। আর হলও তাই। খুশিতে তো থাক এতকথা বাড়িয়ে লাভ নাই। তারপরও আমি কেন জানি অত্যন্ত খুশি ছিলাম। পারলে পুরোটা এপিসোডই আপ্লোড করে দিতাম কিন্তু এটা বেআইনি আর করলেও এর আগে ফেসবুকে আমার এই সিরিজ থেকে আপ্লোড করা সবগুলো ভিডিও ভিয়েতনামে ব্লক করে দিয়েছে ফেসবুক। এখন শুধু ভিয়েতনামী রা দেখতে পায় না। সে যাই হোক, তবুও আপ্লোড করবো শেষ পর্বের মজার ও স্মরণীয় সব দৃশ্য গুলো। আর যদি দেখতে চান তাহলে (https://m.me/Khalidhuiyan) ফেসবুকে ফলো বা রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারেন আমি আবার এক্সেপ্ট করতে কার্পণ্য করি না তবে না চিনলে ঝুলিয়ে রাখতেও খারাপ লাগে না। একটু বললেই হবে কষ্ট করে যে আমি ব্লগ পরে এসেছি। তো বলছিলাম এন্ডিং নিয়ে। সিজন ২ আসলে সেটাও হতো টপ হিট। আর বছর জুড়ে এই স্থান দখলে রাখতো। কিন্তু আসেনি। গল্পটা ওখানেই রেখেছে। তবে আমি খুশি। প্রথম বার কোন কোরিয়ান সিরিজের পুরোটা প্রতিটা সেকেন্ড ভালো লাগলো। কতটা ভালো লাগলো যেটা বলে বোঝানো যায় না। 



My Rating on this Drama: 10/10❤️


I liked the While Series (Story, VFX, Acting, Production and The Direction) Thanks to the Maker's Who made this Drama with there Emotion to make us Happy. 




নোটঃ এই সিরিজ হিন্দি ডাবিং MX Player এ আছে। আর বাংলা ডাবিং রয়েছে বাংলাদেশী ওটিটি প্লাটফর্ম “চরকি"তে। তবে আমি সবসময় সব সিরিজই অরিজিনাল দেখি আর আমি রিকমেন্ড করবো অরিজিনাল দেখুন। যদি ইংরেজি সাবটাইটেল দিয়ে দেখার অভ্যাস না থাকে তাহলে ডাবিং দিয়ে দেখতে পারেন। সেক্ষেত্রে মূল ভাষায় দেখার স্বাদ না পেলেও ভিন্ন স্বাদে সিরিজটা উপভোগ করলেন। আমার রিকমেন্ডেশন দেখে সিরিজ দেখবেন না। সিরিজ দেখার আগে আইএমডিবি বা মাইড্রামালিস্টে গিয়ে ভালো করে দেখবেন। জনরা, ট্যাগস, রানটাইম আর এপিসোড সংখ্যা পছন্দ হলেই দেখুন৷ পরবর্তীতে আমাকে দোষারোপ করে লাভ নেই 


শেষ পর্যন্ত এপিসোড ০৫ এর দুটো বাক্যই মনে আছে সবসময়। 


Be always with me forever. 


you are my most Precious treasure. 




পরের ব্লগ যেকোন কিছু নিয়েই আসতে পারে। বর্তমানে


 পাকিস্তানি সিরিজ “Suna Chanda S01" 


জাপানী এনিমে সিরিজ “Yamada's First Time" ও অন্য একটি যেটির নাম এ মুহুর্তে উচ্চারন তো দূরের কথা বানানও পারছি না।  


চাইনিজ সিরিজ “Oh! My Emperor S02" 


হলিউডের সিরিজ “Vikings S01" দেখছি। সুতরাং যেকোন টা নিয়েই আসতে পারে৷ আর মাঝেমধ্যে স্পেশাল মুভি দেখা হয়৷ যেমন “Black Adam" অথবা “Black Panther Wakanda Forever" দেখা হবে সেটা নিয়েও আসতে পারে। নিশ্চয়তা নেই৷ তবে শীগ্রই আসছে নতুন কোন রিভিউ...






#IamnotaRobotbyMuhammadKhalidSaifullah




Screenshots...



























































Comments