The Veil (2021)


Spoiler Alert...


শুরু থেকেই রহস্যে। রহস্যের শেষ কোথায় তা জানতে সবসময়ই উদগ্রীব থাকতে হবে। কারণ ১৩ঘন্টা টানা দেখা কোনমতেই সম্ভব না। মোট ১৩ ঘন্টা বা তার বেশি হবে। ১২ পর্বের দ্য ভেইল দেখতে বসে সময় অপচয় হবে না। MBC এর কনটেস্ট উইনিং স্ক্রিপ্ট দিয়ে তৈরি অসাধারণ সিরিজটি রিলিজ হয়েছিল ২০২১এ। ২০২২ এ এসেও অসাধারণ বেশ ভালো লাগার মতো সিরিজ। দক্ষিণ কোরীয় গোয়েন্দা সংস্থা NIS (National Intelligence Service) এর একজন গোয়েন্দা উত্তর কোরিয়ায় তার টিম সহ মিশনে থাকাবস্থায় হঠাৎ হারিয়ে যায়। খবর আসে পুরো টিম মারা গেছে। তাদের লাশ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু একমাত্র Han Ji Hyuk যে টিমের নেতৃত্বে ছিলো তাকে পাওয়া যায়নি। তার সম্পর্কে কোন তথ্যও এনআইএস পায়নি। তার নামের উপর সীল পড়ে যায় EXPIRED


এক বছর পর কোস্টাল সার্ভিস একটা কল পেয়ে সাগরের তীরে যায়। সেখানে মানুষের অর্গ্যান পাচারকারীদের ট্রলারে পাওয়া যায় ১ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া ফরেন সার্ভিসে সবচেয়ে বেস্ট এজেন্ট Han Ji Hyuk কে। তদন্ত করে জানা যায় নিদ্রিষ্ট ড্রাগের মাধ্যমে তার ১ বছরের স্মৃতি ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার টিম মারা যাওয়া পর থেকে তার কিছু সঠিক স্মরণ নেই। তাকে হাসপাতাল ও ইনভেস্টিগেশন শেষে সাধারণ ভাবে আবার ছেড়ে দেওয়া হলে সে তার গত একবছরের স্মৃতি খুজতে নামে। একের পর এক রহস্য আর তার উদঘাটন করেই এগিয়ে যায় সিরিজ। এরই মধ্যে তারই একসময়ের সহকর্মীর মেয়ে আবার তার সহকর্মী হয়ে আসে। মেয়েটি তার বাবার মৃত্যুর কারণ জানতে সংস্থায় যোগ দেয়। সেও এগিয়ে যায় হান জি হিয়্যকের সাথে। একসময় জানা যায় তার বাবাকে উত্তর কোরিয়ায় কারো কাছে বিক্রি করার বিনিময়ে এজেন্সি বিপুল পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়েছিলো। এরপর বাকী গল্প জানতে দেখতো হবে পুরোটা। শার্লক হোমস বা মাসুদ রানা পড়িনি। তাই বলতে পারবোনা তাদের তুলনায় কতটা ভালো হয়েছে কিন্তু যথেষ্ট। দেখতে দেখতে একসময় স্মৃতি ভোলা হান জি হিয়্যক কে ভালো লেগে গিয়েছিল। এমনকি মেসেঞ্জারে নিজের গ্রুপে নিজের নাম পাল্টে হান জি হিয়্যক করে ফেলেছিলাম। যতক্ষণ দেখেছি পুরোটা সময় ঘোরে মধ্যে ছিলাম বলা যায়। কিছু দৃশ্য ব্যক্তিগত ভাবে প্রচুর ভালো লেগেছিল। ১২ পর্বের সিরিজে এতো টুইস্ট আর রহস্য ঘেরা সময় টা ভালো ভাবেই উপভোগ করেছি। যদি সিজন ২ আসে তাহলে অনগোয়িং দেখা শুরু করবো৷ না আসার সম্ভাবনা যদিও বেশি। Mile 22 এ আমার প্রিয় ইন্দোনেশিয়ান মার্শাল আর্ট অভিনেতা ইকো উয়ায়ুসের টুইস্ট দেখে শেষ মুহুর্তে প্রচন্ড অবাক হয়ে ছিলাম তাই এবার প্রস্তুতি নিয়েই বসেছিলাম যে যত রকম টুইস্ট আসুক অবাক হবো না। কিন্তু ওইটা মুভি আর এইটা সিরিজ। পার্থক্যটা বিশাল। গোয়েন্দা গল্প পছন্দ করলে বেস্ট সিরিজ। প্রতি মিনিটে টুইস্ট। এ্যাকশন সিনে হান জি হিয়্যককে বেশ ভালো লেগেছিলো। আর আইটি সেক্টরে ইউ জে ই বেশ ভালোই অভিনয় করেছে। বরাবরের মতো কোরিয়ান ভাব তা আছে। হয়তো চীনা ইনফর্মার ও ব্ল্যাক এজেন্ট চরিত্রের জন্য কিছু চীনা অভিনেতা নেওয়া হয়েছিল তারাও স্ব স্ব অবস্থানে ভালো করেছেন। মোর্স কোডের ব্যবহার কোথা থেকে কোথায় ভাবতেই মনে হয় সব একজায়গায় করে খিচুরি পাকিয়েছেন স্ক্রিপ্ট রাইটার। এটার মাধ্যমে কিছু তথ্য জানা গেল যে, সিসি টিভি বা এরকম ক্যামেরায় চলমান ফুটেজে মানুষের আচার ব্যাবহার পরিবর্তন করা যায় এমনকি সেটা ছেলে থেকে মেয়েতেও। দেখতে ১০০% রিয়েল ফুটেজ মনে হতে পারে কিন্তু সেটা এআই জেনারেটেড ভিডিও। যদিও সেটা এনআইএসের ভিতরের প্রজেক্ট দেখানো হয়েছে। সুতরাং এটা কোন ডকুমেন্টারি না।বিশ্বাস করলেও করা যায় না করলে নাই। 



এই ব্লগে যা লেখা সবই আমার ব্যক্তিগত মতামত৷ সিরিজ দেখার অভ্যাস। অভ্যাস না বলে নেশা বলা যায়। যেই সিরিজটা ভালো লাগে সেটা নিয়ে লিখি। আর ভালো লাগলেও মাঝেমধ্য মতামত শেয়ার করি। কারো ভালো না লাগলে এড়িয়ে যান। অথবা ভুল চোখে পড়লে বলুন৷ শুধরে নেওয়া যাবে। 


Screenshots













Comments